বড় ব্যবধানে জয় পেয়ে ডাকসু নির্বাচনে চমক দেখালেন জুলাইকন্যা তন্বী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন ‘জুলাই আন্দোলন’-এর অন্যতম সংগঠক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বী। ১১ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়ে তিনি এই পদে বিজয়ী হয়েছেন।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এবারের নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. আবু সাদিক ওরফে সাদিক কায়েম, যিনি পেয়েছেন সর্বমোট ১৪ হাজার ৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৫৮ ভোট। অন্যদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা ও শামীম হোসেন যথাক্রমে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ এবং ৩ হাজার ৬৮১ ভোট।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। এ ছাড়া প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট।
এজিএস (সহকারী সাধারণ সম্পাদক) পদে জয়ী হয়েছেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মহিউদ্দিন খান। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৫০১ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী, ছাত্রদল-সমর্থিত তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৫৪ ভোট।
ভোটগ্রহণ শুরু হয় মঙ্গলবার সকাল ৮টায় এবং শেষ হয় বিকেল ৪টায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে মোট ৮১০টি বুথে ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন; এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ জন এবং ১৩টি ছাত্র হলে ২০ হাজার ৯১৫ জন ভোটার ছিলেন।
ডাকসুর ২৮টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৭১ জন প্রার্থী, আর হল সংসদের ২৩৪টি পদের জন্য লড়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন। ফলে একজন ভোটারকে সর্বমোট ৪১টি করে ভোট দিতে হয়েছে।
যদিও অধিকাংশ হলে ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন, তবে ব্যতিক্রম দেখা গেছে জগন্নাথ হলে। সেখানে তিনি মাত্র ১০টি ভোট পান, বিপরীতে আবিদুল ইসলাম খান সেখানে ১ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে বড় ব্যবধানে এগিয়ে যান।
ফলাফল ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে, যা চলে ভোর পর্যন্ত।
