
আয়াতুল কুসরি পাঠের ফযিলত
ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে পরিচিত আয়াতুল কুসরি (সুরা বাকারাহ, আয়াত ২৫৫) মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই আয়াতের রয়েছে অসংখ্য ফযিলত ও বরকত, যা মুসলিম জীবনে শান্তি, নিরাপত্তা এবং আল্লাহর কাছ থেকে সাহায্য লাভে সহায়ক।
ইসলামিক চিন্তাবিদরা বিশ্বাস করেন যে, প্রতিটি ফরজ সালাত (نماز) শেষ করার পর আয়াতুল কুসরি (سورة البقرة: آية 255) পাঠ করা মুসলিম জীবনে অশেষ বরকত ও শান্তি এনে দেয়। আয়াতুল কুসরি ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে পরিচিত এবং এটি সুরা বাকারাহ-এর ২৫৫ নম্বর আয়াত। এই আয়াতের বিশেষ ফযিলত রয়েছে, যা প্রতিটি ফরজ সালাতের পর পাঠ করলে অনেক দ্বীনি ও দুনিয়াবি উপকারিতার মুখোমুখি হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের গবেষক ড. সাদিকুল ইসলাম বলেন, “ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুসরি পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর কাছ থেকে বিশেষ রক্ষা ও নিরাপত্তা লাভ করে, এবং তার জীবনে বিভিন্ন বিপদ থেকে মুক্তি আসে।”
হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে যে, আয়াতুল কুসরি নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহ তার বান্দাকে বিভিন্ন ধরনের বিপদ, ক্ষতি, এবং শত্রুতা থেকে রক্ষা করেন। বিশেষত, সালাতের পর এই আয়াত পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাকে সুরক্ষা প্রদান করেন এবং তার ঘর-বাড়ি, পরিবার, এবং সম্পদে শান্তি এবং বরকত নাযিল করেন।
ফযিলতের মধ্যে বিশেষ কিছু বিষয়:
- শান্তি ও সুরক্ষা: আয়াতুল কুসরি পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে শত্রুদের হাত থেকে নিরাপদ রাখেন এবং তার জীবনে কোনো বড় বিপদ আসার আগেই তা দূর করে দেন।
- ঈমানের শক্তি বৃদ্ধি: এই আয়াতের পাঠ একজন মুসলিমের ঈমানকে শক্তিশালী করে, তার আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং তার দ্বীনীয় দায়িত্ব পালন করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করে।
- জীবনে বরকত: নিয়মিত আয়াতুল কুসরি পাঠ করলে জীবনে বরকত আসে, অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান হয় এবং দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা আসে।
- রাতের সুরক্ষা: একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, যে ব্যক্তি ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুসরি পাঠ করে, আল্লাহ তার রাত্রিকে সুরক্ষিত রাখেন এবং তাকে শয়তানের থেকে রক্ষা করেন।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ফযিলতের জন্য যে নিয়মিত আয়াতুল কুসরি পড়বে, তাকে অবশ্যই সালাতের প্রতি আন্তরিকতা এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখার প্রয়োজন। ফরজ সালাত শেষ করার পর এই আয়াত পাঠ করা এমন এক আমল, যা মুসলমানদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি এবং সাফল্য বয়ে আনে।
অতএব, সকল মুসলিম ভাই-বোনদের প্রতি আহ্বান, তারা যেন প্রতিদিন ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুসরি নিয়মিত পাঠ করেন, যাতে আল্লাহ তাআলা তাদের জীবনে অশেষ বরকত এবং শান্তি নাযিল করেন।