প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, অন্তবর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, অন্তবর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য প্রদান করেন।

এই সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “অন্তবর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষা, কারণ সরকারের সফলতা নির্ভর করে এ বিষয়টির উপর।”

এ সম্মেলনে সারা দেশের ৩৫৩টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হচ্ছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন। পাশাপাশি, জনসেবা, জনদুর্ভোগ, রাস্তা ও সেতু নির্মাণ, আইন-কানুন ও বিধিমালার সংশোধন এবং জনস্বার্থের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন। সম্মেলনে মোট ৩৪টি কার্য-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে, যা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে কিছু অধিবেশন সচিবালয়ের নবনির্মিত ভবনে হবে, যেখানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব সভাপতিত্ব করবেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দিক-নির্দেশনা দেবেন।

ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি), ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। খাদ্য, ভূমি, অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে।

তৃতীয় দিন, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি), প্রতিরক্ষা, সশস্ত্র বাহিনী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, জননিরাপত্তা, কৃষি, আইন ও বিচার, স্থানীয় সরকার, যুব ও ক্রীড়া, পরিবেশ, মৎস্য, সংস্কৃতি, ধর্ম, জনপ্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, মন্ত্রিপরিষদসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে আলোচনা হবে।

ফিডব্যাক অধিবেশন এবং সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে, তবে এবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি।

এ সম্মেলন সরকার এবং জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের মধ্যে মতবিনিময়ের জন্য আয়োজন করা হয়, যা গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম ডিসি সম্মেলন হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। সম্মেলন ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।

CATEGORIES
TAGS
Share This