চিংড়ি রফতানি খাতে পুনরায় গতি এসেছে
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত চিংড়ি রফতানি, যা এখন ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে চিংড়ি রফতানি বেড়েছে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২,২৪৭ মেট্রিক টন। ব্যবসায়ীরা মানসম্মত উৎপাদন ও রফতানি খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন।
মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দফতরের (এফআইকিউসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে দক্ষিণাঞ্চল থেকে চিংড়ি রফতানি হয়েছে ১১,৩১৮ মেট্রিক টন, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২,২৪৭ মেট্রিক টন বেশি। রফতানির মোট মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। ব্যবসায়ীরা উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিচ্ছেন এবং এজন্য চাষিদের আর্থিক প্রণোদনা ও আলাদা চিংড়ি অঞ্চল তৈরির দাবি তুলেছেন।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন বলেছেন, রফতানি বাড়ানোর জন্য নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খুলনার মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা লিপটন সরদার বলেন, মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে খুলনা থেকে চিংড়ি রফতানি হয়েছিল ২৫,৫৩০ মেট্রিক টন, যা গত অর্থবছরে কমে ১৫,৪৫০ মেট্রিক টনে পৌঁছেছে।