
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন। আজ, ১৫ জানুয়ারি (বুধবার), আপিল বিভাগ তাকে খালাস দিয়ে রায় প্রদান করেছেন। একইসঙ্গে বিচারিক আদালত এবং হাইকোর্টের রায়ও বাতিল করা হয়েছে। একই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিরাও সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট আপিল বিভাগ সর্বসম্মতভাবে এ রায় ঘোষণা করেন। খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত এই রায় দেন, যা হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে ছিল।
রায়ে আদালত উল্লেখ করেন, প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল এবং এর মাধ্যমে খালেদা জিয়ার সম্মানহানি করা হয়েছে।
১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখায় ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল’ নামে একটি হিসাব খোলা হয়, যেখানে কুয়েত আমিরের পাঠানো বিদেশি অনুদান জমা হয়। ওই অর্থ পরবর্তী দুই বছরে কোনো এতিমখানায় দান করা হয়নি। ১৯৯৩ সালে, জিয়াউর রহমানের দুই ছেলে—তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমান—এবং তাদের ফুপাতো ভাই মমিনুর জিয়া মিলিতভাবে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট গঠন করেন। ট্রাস্ট গঠনের পর, অনুদানটি দুই ভাগে বিভক্ত করে বগুড়া ও বাগেরহাট শাখার জন্য বরাদ্দ করা হয়।
আলোচিত এক এগারো সরকারের সময়, ট্রাস্টের জন্য কুয়েত আমিরের পাঠানো প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকার আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয় এবং ২০০৯ সালে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। মামলা প্রক্রিয়া উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১4 সাল পর্যন্ত স্থগিত থাকলেও পরবর্তীতে তা চলতে থাকে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার আলিয়া মাদরাসার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টে এই সাজা ১০ বছর হয়ে যায়। এরপর খালেদা জিয়া কারাগারে যান। আজ, আপিল বিভাগের রায়ে তাকে খালাস দেওয়া হলো।