
বইমেলায় প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই চত্বর’
গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের বইমেলার প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটেছে, এবং এবারের অমর একুশে বইমেলায় সেই অভ্যুত্থানের বিষয়গুলো নানা উপায়ে তুলে ধরা হবে। থাকবে ‘জুলাই চত্বর’, পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানকে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হবে।
মেলার রঙ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে লাল, কালো ও সাদা। লাল বিপ্লবের প্রতীক, কালো শোকের প্রতীক এবং সাদা আশার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হবে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বইমেলার উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবারের অমর একুশে বইমেলার প্রতিবাদ্য হবে – ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।
এদিকে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে মেলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মেলার স্টল ও প্যাভিলিয়ন তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে এবং মেলার অন্তরালের মানুষজন প্রাঙ্গণকে সরগরম করে তুলছেন।
এছাড়া, এবারের বইমেলা পাঁচটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, যা ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের শহীদদের নামে নামকরণ করা হবে।
সূত্র জানিয়েছে, মেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া, একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর, অর্থাৎ সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বইমেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।