
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে একটি মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যদিও ভূমিকম্পটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি এবং এর তীব্রতা খুব বেশি ছিল না, তবে অনেকেই এতে কিছুটা আতঙ্কিত হয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে, এ ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
ভূমিকম্পটি রাতে ঠিক রাত ১টা ২৫ মিনিটে অনুভূত হয় এবং এটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে থেমে যায়। রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কম্পনের অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে। সিলেট, শেরপুর, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে এর প্রভাব ছিল বেশি। অনেক মানুষ ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন এবং কিছু সময় আতঙ্কিত অবস্থায় ছিলেন। তবে, দ্রুত পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে পড়ে।
ভূমিকম্পটি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে। এটি মাটির ১১২ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়েছিল এবং রিকটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.১। ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট তীব্রতা দেশের বিভিন্ন অংশে পরিবর্তিত হয়েছিল, তবে এটি কোন বড় ক্ষতি বা হতাহতের কারণ হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশের ভূমিকম্প কেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো নিশ্চিত করেছে যে তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ভূমিকম্পের পরবর্তী যেকোনো বিপদ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্পের এ ধরনের অনুভূতি সাধারণত অস্থায়ী হয়ে থাকে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়াও, ভূমিকম্প এবং ভূতাত্ত্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত আরো বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।