আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম

আজ থেকে শুরু হচ্ছে দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন সাভারে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।

এ সময় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

এ কার্যক্রম ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এদিকে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদান করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকালে ইউএনডিপি নির্বাচন কমিশনের কাছে ১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০টি স্ক্যানার এবং বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহের জন্য ৪ হাজার ৩০০টি ব্যাগ তুলে দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন বলেন, “ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার ইউএনডিপি। গত ডিসেম্বর মাসে তাদেরকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য বলেছিলাম এবং তারা তা দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছে, এর জন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

এই হালনাগাদ কার্যক্রমের আওতায় ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম, অথবা পূর্বের তালিকাভুক্তিতে যারা বাদ পড়েছেন, তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়া মৃত ব্যক্তিদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

নতুন ভোটারদের নিবন্ধন বা বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের মধ্যে রয়েছে: ১. ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি, ২. জাতীয়তা সনদের কপি, ৩. নিকট আত্মীয়দের এনআইডির ফটোকপি, ৪. এসএসসি বা সমমানের সনদের কপি (যদি প্রযোজ্য হয়), ৫. ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি বা চৌকিদারি ট্যাক্স রশিদ)।

ভোটার হওয়ার জন্য যে বিষয়গুলো সতর্কভাবে পালন করতে হবে: ১. নাম, পিতামাতার নাম, জন্ম তারিখ ও ঠিকানা সঠিকভাবে মিলিয়ে লিখতে হবে, ২. ভোটার হওয়ার সময় ভুল তথ্য দেওয়া যাবে না এবং ৩. কোনো অবস্থায় দ্বৈত ভোটার হওয়া যাবে না।

বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০, যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭, নারী ভোটার ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯৩২ জন।