
মালয়েশিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্মী পাঠানোর দাবিতে কারওয়ানবাজারে বিক্ষোভ
রাজধানীর কারওয়ানবাজার মোড়ে আজ সকাল ৯টা থেকে ১৮ হাজার মালয়েশিয়াগামী কর্মী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন, যাদের গত বছরের ৩১ মে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়নি। দুই ঘণ্টার অবস্থানের পর পুলিশ তাদেরকে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। কর্মীদের দাবী, মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরও টিকিট সংকটসহ নানা জটিলতায় তারা সেখানে যেতে পারেননি।
এ বছরের জানুয়ারিতে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান। এসব কর্মীরা জানান, গত বছরের ৩১ মে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিক্রুটিং এজেন্সি ও সাব এজেন্টদের অনিয়মের কারণে তাদের মালয়েশিয়ায় যাওয়া সম্ভব হয়নি। এর পর মন্ত্রণালয়ের নানা আশ্বাসেও তারা সমস্যার সমাধান পাননি, ফলে বাধ্য হয়ে তারা সড়কে নেমেছেন।
এদিকে, গত ৪ অক্টোবর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ঢাকায় এসে ১৮ হাজার কর্মীকে দ্রুত মালয়েশিয়ায় পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন, যার বাস্তবায়ন এখনো হয়নি। কর্মীরা তার আশ্বাস দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছেন।
দুপুরের দিকে, আন্দোলনকারীরা কারওয়ানবাজার থেকে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সেখানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, আটকে থাকা কর্মীদের মধ্যে ৮১ শতাংশের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে এবং বাকি কর্মীদের টাকাও ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরও জানান, যেসব রিক্রুটিং এজেন্সি টাকা ফেরত দিচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সচিব আরো জানান, মালয়েশিয়ার সাথে আলোচনা চলছে এবং যত দ্রুত সম্ভব প্রক্রিয়া সমাপ্ত করার আশা ব্যক্ত করেন। “মালয়েশিয়া যখন প্রস্তুত হবে, তখন আমরা ১৫ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবো,” বলেন তিনি।
এদিকে, ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে কর্মী পাঠানোর সমঝোতা স্মারক সই হয় এবং ২০২২ সালের আগস্ট থেকে কর্মী পাঠানো শুরু হয়। বিএমইটি’র তথ্য অনুযায়ী, ৩১ মে ২০২৪ পর্যন্ত ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জন কর্মী ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স পেয়ে মালয়েশিয়ায় গেছেন, কিন্তু ১৬ হাজার ৯৭০ জন কর্মী শেষ সময়ের মধ্যে সেখানে যেতে পারেননি।