
নাম ছাড়া ভিত্তিপ্রস্তর, প্রশংসায় ভাসছেন প্রধান উপদেষ্টা
চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর বহুল প্রতীক্ষিত রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণের কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে উদ্বোধনী ফলকে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঊর্ধ্বতন নির্দেশনার আলোকে এই ফলক তার নাম ছাড়া তৈরি করা হয়েছে। এই ব্যতিক্রমী পদক্ষেপের জন্য অধ্যাপক ইউনূস প্রশংসিত হচ্ছেন সর্বত্র।
বুধবার (১৪ মে) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণ থেকে তিনি এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন। উদ্বোধনী ফলকে তার নাম না থাকাকে অনেকে দেখছেন নিঃস্বার্থ সেবার প্রতীক হিসেবে, যেখানে ব্যক্তি-স্বার্থের চেয়ে জনগণের কল্যাণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অধ্যাপক ইউনূসের পোস্ট করা ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বহু মানুষ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, এই ধরনের উদাহরণ অনুসরণীয় হওয়া উচিত, বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের জন্য। অনেকেই সেই ছবি শেয়ার করে নিজেদের প্রশংসাসূচক মন্তব্য যুক্ত করেছেন।
সেতুর উদ্বোধনকালে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “কালুরঘাট সেতু আমার স্মৃতির সঙ্গে জড়িত। এর ঐতিহাসিক তাৎপর্য অনেক গভীর। আজকের এই অনুষ্ঠানে বোয়ালখালীর মানুষজনও উপস্থিত হয়েছেন। তারা বহুদিন ধরে এই সেতুর অপেক্ষায় ছিলেন। সেতুটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে।”
প্রসঙ্গত, নতুন সেতুর নির্মাণকাজ ২০২৯ সালের মধ্যে সম্পন্ন করে ২০৩০ সালে চালু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।