
আগামী নির্বাচন হবে সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠ: প্রধান উপদেষ্টা
আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ, সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা। তিনি এই কথা বলেছেন আজ সকালে এক সরকারি সংবাদ সম্মেলনে, যেখানে তিনি নির্বাচনী প্রস্তুতি এবং সরকারী পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বলেন, “সরকার নির্বাচনের জন্য সকল প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু এবং অবাধ হয়।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা ভোট জালিয়াতির ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না।
তিনি জানান, “নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সকল রাজনৈতিক দলের সমান সুযোগ রয়েছে। কোনও দলের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে পক্ষপাতিত্ব করা হবে না। নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে এবং ভোটারের স্বাধীনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।”
এছাড়াও, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরণের প্রমাণাদি এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করার বিষয়েও আলোকপাত করেন। তিনি জানান, ভোটকেন্দ্রগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থাও থাকবে।
নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, “আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। সকল ভোটারকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেয়া হবে এবং তাদের ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে।”
তিনি দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। সকল রাজনৈতিক দল, দেশের জনগণের স্বার্থে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে বলে আমরা আশা করি।”
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনী নিরাপত্তার বিষয়ে আরও বলেন, নির্বাচনে কোনও ধরণের হানাহানি বা সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনকালীন সময়ে সর্বোচ্চ সতর্কতায় থাকবে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
নির্বাচনী আচরণবিধি এবং আইন-কানুন মেনে চলার জন্য তিনি সকলকে অনুরোধ করেন এবং জানান যে, নির্বাচনের দিন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময় খোলা থাকবে, যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন।
এদিকে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারাও প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তারা আশা করেন আগামী নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠ নির্বাচন।