
জাপানে বর্তমানে প্রায় এক লাখ মানুষ ১০০ বছরের বেশি বয়সী
জাপানে শতবর্ষী (১০০ বছর বা তার বেশি বয়সী) মানুষের সংখ্যা নতুন রেকর্ড গড়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, চলতি মাসে জাপানে শতবর্ষীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৯,৭৬৩ জনে, যার মধ্যে প্রায় ৮৮ শতাংশই নারী।
জাপান দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘায়ু জাতিগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত। এখানকার বহু নাগরিকই শতবর্ষী হওয়ার মাইলফলক অতিক্রম করছেন। যদিও বৈশ্বিকভাবে শতবর্ষীদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে কিছু গবেষণায় বিতর্ক থাকলেও জাপানের এই প্রবণতা নিঃসন্দেহে নজরকাড়া।
জাপানের বর্তমান সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হলেন শিগেকো কাগাওয়া, যিনি ১১৪ বছর বয়সী এবং বসবাস করছেন নারা শহরের উপশহর ইয়ামাতোকোরিয়ামা-তে। অপরদিকে, সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ হলেন ১১১ বছর বয়সী কিয়োটাকা মিজুনো, যিনি ইওয়াতা শহরের বাসিন্দা।

জাপানের জনসংখ্যা দ্রুত বার্ধক্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস, উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং সক্রিয় জীবনধারার কারণে এখানকার মানুষের গড় আয়ু উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। তবে পাশাপাশি জন্মহার হ্রাস পাওয়ায় জাপান এক ধরণের জনসংখ্যাগত চ্যালেঞ্জেরও মুখোমুখি।
ইতিহাসে ফিরলে দেখা যায়:
- ১৯৬৩ সালে, যখন জাপান সরকার প্রথমবারের মতো শতবর্ষীদের নিয়ে জরিপ শুরু করে, তখন মাত্র ১৫৩ জন মানুষ এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন।
- ১৯৮১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১,০০০-তে।
- ১৯৯৮ সালে তা পৌঁছে যায় ১০,০০০-এ।
- আর বর্তমানে, ২০২৫ সালের হিসাবে তা প্রায় ১ লাখ—যা একটি অভূতপূর্ব রেকর্ড।
বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর তুলনায়, ১৯৬০-এর দশকে জাপানে শতবর্ষীর অনুপাত ছিল সবচেয়ে কম। অথচ কয়েক দশকের ব্যবধানে সেই চিত্র পাল্টে গেছে নাটকীয়ভাবে। এখন জাপান শুধু দীর্ঘজীবনের মডেল নয়, একই সঙ্গে এক বৃদ্ধিশীল সমাজের প্রতিচ্ছবিও।