জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরত পাওয়ার আশায় চোখ সুপ্রিমকোর্টে

জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরত পাওয়ার আশায় চোখ সুপ্রিমকোর্টে

জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরে হবে নাকি আগামী বছরের জুনে এ নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও ভোটের প্রস্তুতিতে পিছিয়ে নেই জামায়াতে ইসলামী। এরইমধ্যে বেশিরভাগ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে প্রচার চালাচ্ছে দলটি। তবে নির্বাচনী মাঠে থাকলেও জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক নেই।

যদিও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়। সেসময় দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘দাড়িপাল্লা’ও হারায় দলটি। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও প্রতীক আইনি লড়াই করেই ফিরে পেতে চায় দলটি।

গণঅভুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি পাল্টেছে। তবে ৮ মাসেও জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়ার আবেদনের সুরাহা হয়নি উচ্চ আদালতে।

এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান জানান, আমাদের রেজিস্ট্রেশনকে আওয়ামী লীগ বাতিল ঘোষণা করেছে । আসলে এটি জুলুম এবং অন্যায় হয়েছে। সামন শুনানি হলে আমরা আশাবাদী আমরা আমাদের রেজিস্ট্রেশন ফিরে পাবো।

নিবন্ধন ও প্রতীকের বিষয়টি আইনগতভাবে সুরাহার ক্ষেত্রে দীর্ঘসুত্রতার কারন জানালেন দলটির আইনজীবী অ্যাড. শিশির মনির। তিনি জানান, জামাতের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মামলাটি আংশিক শ্রুত হয়েছিল।আংশিক শ্রুত যে বেঞ্চে হয়েছিল সেই বেঞ্চের একজন বিচারপতি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি প্রায় এক মাস আদালতে আসতে পারেননি। পরে এক মাস আদালত বন্ধ ছিলো। এ কারণেই বিষয়টিতে সময় লাগছে।

আপিল বিভাগে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমেই নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাবে জামায়াত এমন প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, জামায়াতের রেজিস্ট্রেশনের নিয়ে অনেকে মনে করে জামায়াত আর প্রতীক ফিরে পাবে না। আমরা এমন আইনী উদ্যোগ নিয়েছি যেটাতে নিবন্ধন ও প্রতীক দুটোই পাওয়া যায়।

এই ইস্যুতে উচ্চ আদালতের শুনানিতে কিছুটা বিলম্বিত হলেও কাঙ্খিত রায়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জামায়াতের নেতারা।

CATEGORIES
TAGS
Share This